আবারও ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রকাশিত : ২১:১৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
আবারও ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামী বছর থেকে এই ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। একই সঙ্গে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আবার চালু হচ্ছে। আগামী বছর থেকে এই ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় শুরু করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। একই সঙ্গে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক টিমের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। আমরা ২০২৫ সালকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। পূর্বের সকল পরীক্ষাগুলো যদি আমরা আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারি, তাহলে সেশনজট ৬০-৭০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম হব।
সমাবেশটি পরিচালনা করেন বিসিকের পরিচালক ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাছানাত আলী, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই ছিদ্দিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি, এইচএসসির জিপিএ এবং প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি হয়ে আসছে। তার ভিত্তিতে শূন্য আসনে ভর্তি করা হয়ে থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স রয়েছে সারাদেশের ৮৮১টি কলেজে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথমবর্ষে ভর্তিযোগ্য মোট আসন ছিল চার লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি।
অন্যদিকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথমবর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। দেশের এক হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা তিনটি, আদিবাসী একটি, প্রতিবন্ধী একটি, পোষ্য কোটা তিনটি।
এমবি
আরও পড়ুন